।।ধ্রুবজ্যোতি মজুমদার।।
রাজা
এক
যে ছিলো রাজা। আজকাল রাজা মনোহারি দোকানের দেনা শোধ
করা নিয়ে ভীষণ চিন্তিত। অদ্ভুত সব
আচরণ করেই চলছে। এইতো শুনলাম সে নাকি
আগামী সপ্তাহে ধর্ণায় বসছে; নামকরণ প্রক্রিয়াতে BPL তালিকার
ভূমিকা সুনিশ্চিত করাটাই তার উদ্দেশ্য। এরও আগে গত
সপ্তাহে সে একখানা মামলা করে এসেছে তার স্বর্গত পিতা মাতার নামে-
উঁনারা নাকি রহস্যজনক কারণে ওর রাজ্য টা দিয়ে যাননি! রাজার ছোটভাই
গবুচন্দ্র এলাকার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও রাজনেতা। বড়
ভাইয়ের এরূপ আচরণে
উনি খুব লজ্জিত অনুভব করেন। কেউ কেউ বলছে
যে কোনো এক মানসিক চিকিৎসালয়ের সাথে গবুচন্দ্রের কথা-বার্তা চলছে।
লক্ষ্মী
পিছু
থেকে সিটি বাজালে সেটার উত্তর কিভাবে দিতে হয় জানা ছিলোনা বলে যে মেয়েটির
অষ্টম শ্রেণীতেই পড়াশুনা লাটে উঠেছিলো, কেউ কি তখন স্বপ্নেও ভাবতে পেরেছিলো যে
এই লক্ষ্মীই একদিন এক নারীমাংস লোভীর ইঞ্চি আটেক হাড়হীন মাংস কেটে জেলে যাবে?
হ্যাঁ
... তাহলে এবার থেকে অসুর বধে দেবতারও শাস্তি হওয়া উচিৎ।
একটি প্রেমের গল্প
ওরা দু’জন দু’জনকে খুউউউউউব
ভালোবাসতো। যদিও কেউ কাউকেই কোনোদিন বলেনি। কিন্তু দুজনেই ভালোভাবে জানত। একবিংশ
শতাব্দীতেও পারিবারিক দায়িত্ববোধটা উভয় প্রান্তেই ছিলো অত্যন্ত সুদৃঢ়। কিয়ৎক্ষণ
অনলাইন না থাকলে মনে হতো কয়েক যুগের অদর্শন যেনো। সেই ওরা একদিন নিজেদের মধ্যে
পরামর্শ করে একে অন্যকে ব্লক করে দিলো। এত এত প্রেম মিলে না পারল ছেলেটির কপালের
চন্দন ফোঁটা মুছতে, আর না পেরেছিলো মেয়েটার মাথা থেকে হিজাবটা নামাতে।