Tuesday 19 December 2017

নিশাচর

Sleeping Girl Pic এর ছবি ফলাফল

ঘুমিয়ে অর্ধেক আয়ু কাটায় যারা
ওরা ভালো চোখে দেখেনি কোনোদিন
শ্লেষ এর মোড়কে পদবি পোষ্ট করে
আমার ঠিকানায় "নিশাচর"।


প্রেয়সীও জানেনা সে খবর
সে তখন দূর কোথাও
এলো চুলে শিল্প গড়ে
তুলতুলে বালিশে।


আমার প্রহর গুলি তখন
অকাতরে ছড়িয়ে যাচ্ছে কালো
আমার উদ্দেশ্যহীন পায়চারি অজান্তেই পা মেলায়
জোনাকির প্রতিবাদী মিছিলে।

মাথার উপর বিশাল ভারাক্রান্ত বুক
যুগ যুগ ধরে ঠায় ধরে আছে সৃষ্টি
সেই বুকের স্পন্দনে মাথা ধরে আসে
সে যন্ত্রণা ওদের ভাগে নেই।
ওরা জানেনা আঁধার বিরোধী অভিযানে
কত জোনাকির আহুতি চলে
কত কত উল্কা ঝড়ে সেই বুক হতে।

নিশাচর তাই প্রত্যক্ষদর্শী হয়েই থাকি রোজ্
প্রেয়সী তুমি মধ্যরাতের কাব্য লিখ
অন্যদের মতোই প্রভাতে !

Friday 15 December 2017

মুক্তি লগ্নে


কানা কানা পূর্ণ ভরন্ত সংসারে
এমনই এক পড়ন্ত বেলায়....
দেখিবে অস্তমিত সূর্য বহুতল ছাদে দাঁড়িয়ে
অথবা জানালার গ্রীল ফুঁড়ে নিঃসীমে ছুটবে দৃষ্টি ...


শহুরে প্রদূষণের কূহেলিকাময় আকাশে
স্পষ্ট ফুটে উঠবে এক পথ রেখা ,
অথবা এক ভুলে যাওয়া পরিচিত মুখ ...
কিছু উদ্দাম আবেগ
একগুচ্ছ হিজিবিজি সময়
অকারণ কথামালা
সব মিলে জমাট বাঁধা একখন্ড মেঘ ।

তুমি হবে মগ্ন সত্যি মিথ্যা যাচাইয়ে...
ধরা দেবে অনেক গোপন সত্য সেদিন ,
যা আজকের দিনে অধরা...
ফেলে আসা বর্জ্য নতুন মোড়কে
জানান দেবে তার প্রয়োজনীয়তা।
আশ্চর্য হয়ে দেখবে চেয়ে
মৃতের অভিসার...

কিছু জিনিস যে সত্যিই অমর
অবাধ বিচরণ এপার ওপার
হয়তো ছুটে আসবে অজস্র প্রশ্ন বাণ
বাতাসের গায়ে তীব্র দহন
তুমি ঠায় দাঁড়িয়ে হতবাক
চারপাশে প্রশ্নচিহ্নের আবর্ত।

সেই গোধূলির সূর্যের সাথে ঘুচে যাবে কিছু
স্বরচিত ভ্রম ,
পূর্ণতার মাঝের ফাঁকটুকু নিশ্চয় পড়বে ধরা
আত্ম গ্লানিতে চোখ ঝড়াবে মুক্তোর ঝড়
একটি অতৃপ্ত আত্মার সেই মুক্তি ক্ষণে
একমুঠো মুক্তো উপহার।

সাক্ষী থাকবে একা তুমি আর তোমার গ্লানির পাহাড় ॥





Sunday 19 November 2017

বাঁচতে হয় বলেই

Click Here

কেমন আছি?
অনেকদিন পর হাসালে বন্ধু
ছোট্ট একটি প্রশ্নে----
অন্য কেউ হলে হয়ত বলতাম- “ভাল”,
নিজেকেই বা ফাঁকি দেই কি করে
আছি
বেঁচে আছি ।।


যেমনটা বেঁচে থাকে
শুকিয়ে যাওয়া নদী- পাতা ঝড়া গাছ
একবুক হতাশা আর লাঞ্ছনা বয়ে
রুক্ষ ইতিহাস রূপে ।
যেমনটা বেঁচে থাকে ধ্বংসস্তুপ
দূর্গ-অথবা বটবৃক্ষ
একদার অনেক হট্টরোল কলরবের
নীরব সাক্ষীরূপে
শুধু স্মৃতি বয়ে বয়ে ।।

সময়ের ভারী বোঝাতলে কুঁজো
অশীতিপর বৃদ্ধসম নুয়ে নুয়ে চলা-একটা জ়ীবন
যেমনটা হয়- দাগ পড়ে যাওয়া ফিল্ম
তেমনই,
তবে যথেষ্ট সজীব
সভ্যতার সাথে রোজ পাল্লা দিই
এই সমাজের সু-সভ্য নাগরিক হয়েই বাঁচি ।

শুধু কখনও কখনও মায়া কেটে যায়
সত্যকে আর ফাঁকি দেওয়া যায়না তখন,
কেউ না জানলেও,আমিতো জানি
নিছক বাঁচতে হয় বলেই যে বেঁচে আছি ।।






Your Name :

Your Email: (required)

Your Message: (required)


Saturday 18 November 2017

নিয়তি
















Click Here 

তোমার উপেক্ষা গুচ্ছ
একদা আমার সস্নেহ প্রশ্রয়ে
তিলে তিলে সাগর সমা
আজ তুলেছে সুনামী

প্রেম নামক দূরন্ত ঘূর্ণিতে
চরাচর অন্ধ হয়ে যায়
দিকভ্রষ্ট কত জাহাজ; তক্ত-তাজ
কোন ছার আমি !!

তবু সে ঝড় ছুটতেই থাকে
দিকবিদিক আপন অপরিমাপ্য ছন্দে
হাওয়াতে ভাসা যতই দীর্ঘস্থায়ী হোক না-
পরম আশ্রয় পদতলের একমুঠো জমি।


Friday 17 November 2017

বরফ-আখ্যান




বরফ-আখ্যান

আজন্ম স্থবির হয়েই ছিলো
সুউচ্চ হিমালয়ে, কোনো এক প্রান্তে,
নিজের প্রত্যেকটা পরমাণুর শক্ত বাঁধনে,
স্থিতপ্রজ্ঞ বরফ।

জল হওয়ার সাধ ছিলোনা তার
ইচ্ছে ছিলোনা কলকল ছলছল অবাধ গতির,
প্রকৃতির অমোঘ বিধানে একদিন কেউ-
দূর্ভেদ্য শিখরে পৌঁছে হাতের তালুতে তুলে নিল।

সে উত্তাপে আলগা হয়ে এলো বাঁধন
মৌল পাল্টাল ধর্ম, আজ সে উদ্দাম নদী।

সেই হাতের তালুটি আজও ছুঁয়ে যায় নিয়মিত
কিন্তু বিমর্ষতায় হাতটি আজ কালো,
এই জলে সে আজো বরফটাকেই খোঁজে
যদিও বরফকে জল সে-ই বানালো !


জলের চোখে জল আসে
ভরে ওঠে নদীর বুক,
পণ করে সে- বাষ্পীভূত হয়ে নামবে পুণঃ গিরিশৃঙ্গে
আসুক,এবারের গ্রীষ্মকালটা আসুক।।

Thursday 16 November 2017

গুচ্ছ অণু কবিতা



Click Here For More








একটি স্বপ্নের প্রয়োজনে সৃষ্ট চারা গাছ-
কর্তব্য বিস্মৃত; আজ নিজেই সাজায় অন্য স্বপ্ন
মহীরুহের ছায়াতলে-
ইতস্ততঃ বাড়ে বৃদ্ধাশ্রম
 **********************

তোমার বোধের অনেক উপর দিয়ে গেলো
তাই সেগুলো কবিতা হলোনা
দূরবীণে কি আর সব ধরা পরে?
প্রত্যেকেই নিজের কাছে অচেনা
********************

সাধু পুরুষ!!
 
শমণের মননে সন্ত্রস্ত হও
সংগ্রহের অধিকার হারানোতে ক্ষুণ্ণ,
নেহাৎ আনুষাঙিকতায় এত মোহ
তোমার উদ্দেশ্য-গন্তব্য দুটোই ভিন্ন
**************


এক ছাদের তলায় বাস করে
গুচ্ছ অসামঞ্জস্যতা,
অথচ ঠিক মানিয়ে নেয়;
সহজাত মানবীয় শক্তি?!
দাঙ্গা বাঁধায় যা-
সে কোন ভক্তি??
****************



সেই ভয়ঙ্কর কথাটি আর বলা হয়নি
তা যে অত্যন্ত সংক্রামক,
একদিন শেষ হবে নিরলস গবেষণা
আক্রান্ত রক্তে হবে প্রতিষেধক।।

*****************



শুনেছি এ মহাবিশ্বে হারায় না কিছুই
শুধু রূপান্তর,
তবে কি হবে পুণঃ মুখোমুখি-
অচেনা ধূমকেতু রূপে?
************



অনুমান যদি করতে হয়, তবে করো-
ব্রহ্মাণ্ডীয় প্রেক্ষাপটে পৃথিবীর একাকীত্য,
উদয়াস্ত চক্রে আত্মতুষ্টির খোঁজ
নেহাৎ শিশুবৃত্তি,
গোলাকার বাহনে অনন্ত যাত্রা
বান্ধব - গন্তব্য বিহীন!
এই তো শাশ্বত; নিত্য ।।
******************



তুরঙ্গারোহিত সোম
চৌপাশে স্ব-আরোপিত ধূম
অভিসারে যুবতী তমা- 

কর্মব্যস্ত ঐশী কলম
************** 


প্রজাপতি পাখায় সয় না ভার,
যত ভালোবাসা যত দায়-
সব তোলা থাক অদৃষ্টপূর্ব ফিনিক্সের জন্যে
******** 


১০
ধ্বনি কে হার মানায় অক্ষরের কোলাহল
প্রসব যন্ত্রনাতেও নেই এতটা অস্থিরতা,
পণ্ডিত, তুমি কখনই বুঝবে না এই প্রাকৃতিক বিকার
কত সহজেই এক শব্দে লিখে দাও- "ব্যাকুলতা"।।
**********  

একটি হত্যা












 

*************
কে কখন কিভাবে আমার হত্যা করল
সত্যি বলছি টের টি পাইনি,
যখন পেলাম
তখন লাশ পচে দূর্গন্ধ,
পাছে ব্যাহত হয় জীবন্তের প্রাত্যহিকী
জড়ো করছি পচা গলা মাংস হাড় নিজেই,
আততায়ী স্বচ্ছন্দে ভিড়ে মিশে গেলো
যদিও সন্দেহের তালিকায় অনেকেই।




© ধ্রুবজ্যোতি মজুমদার

Wednesday 15 November 2017

দূরবীন


দূরবীন

***************

চারপাশে চরম অনিশ্চয়তার লু
আমি নিশ্চিন্ত ,
অসতর্ক তাণ্ডবে মেদিনি অসহিষ্ণু
আমি লিখি প্রেমের কবিতা ।

বিপদ সীমার উপর প্রবাহিত -
লোহিত প্লাবন,
আমার ভ্রূক্ষেপ নেই
ভাসছি কল্পনার ফানুসে।

জাতি সত্ত্বা বর্ণ সত্ত্বার মহারণ
আমার সত্ত্বা নিরুদ্দেশ মহাশূন্যে ,
সেখান থেকে সবটাই সমান দেখায়
তাই এতটুকু দেখছি-
মানুষ মারছে মানুষ ॥


ভাসমান গোলকের কাঁটাতারের বেড়াগুলিও অদৃশ্য ওখান থেকে ,
ঠিক বোঝা যায়না
কোনটা সিরিয়া মায়ানমার
দাদরি গোধরা,
অথবা বাবড়ি ইরাক আফগান !
কোনটা ঠিক বাংলাদেশ আর
কোনটাই বা কাশ্মীর পাকিস্তান !!

রাজনেতা ধর্মনেতা সব একাকার
একাকার বিজ্ঞ- মূর্খ ,
লাল রঙে ছয়লাপ গোলাকার পিণ্ড
বিকট আর্তনাদে হিন্দোলিত মহাকাশ॥

তন্ময়তার ঘোর কেটে গেলো
প্রেমের কবিতা রইল অসম্পূর্ণ ,
মানসী মানস ছেড়ে পালাল ত্রাসে
চুপসে যাচ্ছে কল্প ফানুস।

এ এক বিড়ম্বনাই বটে
কোথায় রাখব পা বাস্তবতার ভূমি মাঝে ?
পদার্পণ মাত্রেই তো আমি যোদ্ধা
অনিচ্ছায় জুটে যাবে অসংখ্য পরিচয় ॥
জাতি-বর্ণ-সম্প্রদায়
আরও কতকি পরিচয়ে চলবে দলে টানার লড়াই
যেকোনো একটা পরিচয়েই হোক
আখেরে মানুষকেই মারতে হবে।

রক্তের নেশায় এমন নেশাতুর করে তুলবে ওরা-
একদিন হয়ত বলব
প্রেম কবিতা আবেগ
সে আবার কেমন বস্তু ?!


ধ্রুবজ্যোতি মজুমদার

Tuesday 14 November 2017

দিনলিপি








দিনলিপি

বৃন্ত ছুঁয়ে থাকা কুসুম জানে
মাধ্যাকর্ষণের হিংস্রতা,
স্লোগানে টিকেনা তার অস্তিত্ত্বের স্থিতি।

দূর্যোগের সে রাতে
সব আবেগের সাথে তুমিও হারাও
শুধু টিকে থাকে বেঁচে থাকার আকুতি।।

ধর্মের ষাঁড় অবাধে ঘুড়ে এগলি সেগলি
গুতিয়ে মারে রোজ ধর্মকেই লক্ষবার লক্ষরকম,
নিজের রচনায় অবাক নিজেই প্রকৃতি।

আমিও কম অবাক হইনা
দূর থেকে চেয়ে দেখি হা-ভাতের মিছিল,
সার্টিফিকেটের আড়ালে ছাই-ভষ্ম শিখি।।

বিক্ষিপ্ত ঘটনাগুচ্ছ আমায় কেন্দ্র করে ঘুরে
প্রতিপাকে দূর্বল হয় কেন্দ্র,
খসে পড়ার আগে বাজে খাতায়; রোজনামচা লিখি।।

#ধ্রুব

Monday 30 October 2017

তৃপ্তির খোঁজ






।।ধ্রুবজ্যোতি মজুমদার।।





কখনও মনে হয়
তুই অনন্ত অসীম ব্যাপ্ত
অনু পরমাণু স্বরূপা
নিরন্তর প্রবাহিত ঐশী স্রোত।
রক্ত মাংসের অস্তিত্বের ঊর্ধ্বে -
অভিন্ন সত্ত্বা ।


আমার নিশ্বাস প্রশ্বাস চিন্তা চেতনায়
কোথায় নেই তুই?
অথচ প্রচণ্ড অভাব
অহর্নিশ খোঁজে চলি তোকে।
দৃশ্য অদৃশ্য সকল জগতে,
তোলপার ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়
ভাবের আকাশ ।

রক্ত মাংসের শরীরে এমন কি আছে
সান্নিধ্যতার এ আকুতি সত্যিই দূর্বোধ্য
দূর্বোধ্য - তোর ক্ষণিক ভার্চুয়াল অনুপস্থিতিতে-
আমার নিয়ন্ত্রণহীনতা টুকুও।।


=========================>      Click Here---->            খবর  

Friday 27 October 2017

স্খলিত সত্ত্বা






হিরোসিমা আজও হয়নি স্বাভাবিক
প্রজন্মের পর প্রজন্ম মাশুল দেয় সামান্য ভুলের,
ইলেক্ট্রন সংখ্যায় ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে-
বর্তমানের সামনে আসে অতীত।

বর্তমান গ্রহণ করে নিলেও-
প্রকৃতি বিরূদ্ধ ভাবে কি করে বদলায় কেউ?
কারো বারবণিতা সত্ত্বা?







 ------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
you Can Like this too


 খবর সংগ্রহালয় : চাঁদে ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গের হদিশ, হতে পারে ...: চাঁদের মাটিতে বিশাল এক সুড়ঙ্গের খোঁজ পেলেন জাপানের বিজ্ঞানীরা । ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সুড়ঙ্গকে এক দিনের জন্য মানু...

Thursday 26 October 2017

অণুগল্প

 ।।ধ্রুবজ্যোতি মজুমদার।।


রাজা
এক যে ছিলো রাজাআজকাল রাজা মনোহারি দোকানের দেনা শোধ করা নিয়ে ভীষণ চিন্তিতঅদ্ভুত সব আচরণ করেই চলছেএইতো শুনলাম সে নাকি আগামী সপ্তাহে ধর্ণায় বসছে; নামকরণ প্রক্রিয়াতে BPL তালিকার ভূমিকা সুনিশ্চিত করাটাই তার উদ্দেশ্যএরও আগে গত সপ্তাহে সে একখানা মামলা করে এসেছে তার স্বর্গত পিতা মাতার নামে- উঁনারা নাকি রহস্যজনক কারণে ওর রাজ্য টা দিয়ে যাননি! রাজার ছোটভাই গবুচন্দ্র এলাকার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও রাজনেতাবড় ভাইয়ের এরূপ আচরণে উনি খুব লজ্জিত অনুভব করেনকেউ কেউ বলছে যে কোনো এক মানসিক চিকিৎসালয়ের সাথে গবুচন্দ্রের কথা-বার্তা চলছে



লক্ষ্মী
পিছু থেকে সিটি বাজালে সেটার উত্তর কিভাবে দিতে হয় জানা ছিলোনা বলে যে মেয়েটির অষ্টম শ্রেণীতেই পড়াশুনা লাটে উঠেছিলো, কেউ কি তখন স্বপ্নেও ভাবতে পেরেছিলো যে এই লক্ষ্মীই একদিন এক নারীমাংস লোভীর ইঞ্চি আটেক হাড়হীন মাংস কেটে জেলে যাবে? হ্যাঁ ... তাহলে এবার থেকে অসুর বধে দেবতারও শাস্তি হওয়া উচিৎ


একটি প্রেমের গল্প
ওরা দুজন দুজনকে খুউউউউউব ভালোবাসতো। যদিও কেউ কাউকেই কোনোদিন বলেনি। কিন্তু দুজনেই ভালোভাবে জানত। একবিংশ শতাব্দীতেও পারিবারিক দায়িত্ববোধটা উভয় প্রান্তেই ছিলো অত্যন্ত সুদৃঢ়। কিয়ৎক্ষণ অনলাইন না থাকলে মনে হতো কয়েক যুগের অদর্শন যেনো। সেই ওরা একদিন নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করে একে অন্যকে ব্লক করে দিলো। এত এত প্রেম মিলে না পারল ছেলেটির কপালের চন্দন ফোঁটা মুছতে, আর না পেরেছিলো মেয়েটার মাথা থেকে হিজাবটা নামাতে।

Wednesday 25 October 2017

অস্তিত্ব সংকট

অস্তিত্ব সংকট




 


 

 ।।ধ্রুবজ্যোতি মজুমদার।। 


ফল্গুর চোরাস্রোত তোর প্রেম
আমি লুপ্তপ্রায় সভ্যতা।
বিশ্বায়নের ধোঁয়াশায় আমি আড়াল
তুই আরো প্রাচীন; ইতিহাসের ছেঁড়া পাতা।

কোনো এক মহাসড়ক অথবা ফ্লাইওভারের তলায়
নিরন্তর পিষ্ট হয় তোর হৃদপিণ্ড,
আমি চারপাশে গড়ি পাজরের জাল-
শ্বাস নেওয়ার চেষ্টায় চলছে লড়াই।

বেঁচে থাকার জন্যে নয় আদৌ
শুধু তোর হৃদপিণ্ডের তরে,
হয়তবা-
ইতিহাসের স্বার্থ রক্ষায়।।

Monday 23 October 2017

পার্থিব














 



**************************
আসলে তোমার বলে কিছুই ছিলোনা
তুমিও জানো ভালো;
তাইতো অধিকারের এত এত লড়াই


আলোর সন্তান যে- চরাচরের অধিপতি
সে নির্লিপ্ত, নিরুদ্বেগ,শান্ত
তার নেই তিলমাত্র বড়াই

Thursday 29 June 2017

জীবন থেকে দূর




।। ধ্রুবজ্যোতি মজুমদার।।

এইতো বেশ চলছে
ছুঁয়ে প্রান্তসীমা
রোদ বেয়ে নিরন্তর উঠানামা
মেঘের রাজ্যে ভাড়া ঘর।

কখনও কখনও বার্তা নিয়ে আসে
দূরপাল্লার কোনো চেনা পাখি, 
মৃদু সম্ভাষণ শেষে জানান দিয়ে যায়-
থোড় বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ি থোড়।।

একগুচ্ছ হিজিবিজি




।। ধ্রুবজ্যোতি মজুমদার।।











কুরুক্ষেত্র

প্রচণ্ড সংঘাতে ব্যস্ত
তোমার সত্য আর আমার সত্য
দুর্ভেদ্য বর্মে ঘনঘন আঘাত
শব্দ দূষণে ত্রস্ত চরাচর।

নির্ণায়ক ভূমিকা নেবে কিছু মিথ্যা অবশেষে,
হ্যাঁওরাই তো অজর অমর।।






অবতার

হাজারো মুহূর্তের অন্ত্যেষ্টি শেষে
অস্তিত্বে আসে একটি পঙক্তি,
চিতাগ্নির ধূমে নতুন বীজ
প্রবল ঘূর্ণনেও যেমন স্থির থাকে কেন্দ্র।।




নষ্ট চন্দ্র

আঙুল বেয়ে নামা প্রেম
কী-পেড এর উত্তাপেই বাষ্পীভূত বারবার,
ডিসপ্লে তে কি আর স্পন্দন দেখা যায়?
পড়ে থাকে কিছু জারজ স্ট্যাটাস।

কিছু নিরর্থক শব্দপুঞ্জ,
মাছ বাজারের কোলাহল,
এত এত কথাতবু-
সবটাই দুর্বোধ্যঅর্থহীন।।



পরিচয়

ধরা দেয়না বিভাজন রেখা
নামের আড়ালে মুমূর্ষু বেনামী আমি,
দৈহিক পরিচয়ের বাঁধাছকে
নিজের কাছেই নিজে অচেনা।

তার উপর
সু-কু এর বাড়তি খ্যাতির পত।

কালচক্র

কালঘুমে অচেতন লক্ষ্মীন্দর
বয়ে চলে বেহিসেবি সময়,
ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে কবেই
দুরন্ত গতি ধরেছে ধ্রুবতারা।

মুচকি হাসে নেতা পদ্মা
হাসির স্ফুলিঙ্গে ক্ষতবিক্ষত শরীর
নির্বিকার বেহুলা স্থিতপ্রজ্ঞঅচল,
জীবনের প্রমাণ শুধু আঁখিধারা।

ত্রিগুণাতীত দেখছে সব
ভাবান্তরহীন মুখে মিলেনা-
    পরিকল্পনার পূর্বাভাস।
একদিন লক্ষ্মীন্দর আবার ধরবে তান
 বিদায় উৎসবে,
যেদিন বানপ্রস্থে যাবে-
মহাজাগতিক অহমিকারা।।





চিরন্তন

প্রসারিত হচ্ছে মহাবিশ্ব
নিয়ত বাড়ছে দূরত্ব গ্রহ গ্রহাণুর,
নাম না জানা কত জ্যোতিষ্ক
আজই হয়ত দিয়েছিল শেষ উঁকি।

সে খবরে স্পৃহা নেই কারো
কাগজে পাবেনা ঠাঁই,
লক্ষণীয় কোনো প্রভাব পরবে না তবু
তোর আকাশে থাকবে রোশনাই।

কোনো এক ফাল্গুনী পূর্ণিমা তে যবে
নির্নিমেষ নয়নে হবে ঊর্ধ্বমুখী,
ঝলমলে আকাশে তখন
নতুনের হাট।

রাশিরাশি তারকার মনভুলানো সম্মোহনে
ভেসে যাবে ইচ্ছে ডানার সাথে,
নাকি দুচোখ ঝরাবে নীরবে মুক্তো বিন্দু
একটি চেনা তারার খোঁজে।

অনুশোচনা গ্লানি একাত্ম হয়ে
ভাঙবে দেউড়ি কপাট?
নাকি অজ্ঞাতই থেকে যাবে আজকের মতো
নতুনের হাট জমজমাট?

লৌকিক

নিরুদ্দেশ এককৌটো কর্পূর
হদিশ জানেনা কেউ,
যতসব আঁকিবুকি সার
উপচে উঠছে বিজ্ঞান খাতা।

রসহীন রসায়নে ব্যস্ত
সদলবলে বেরসিক কেউকেটা,
ফর্মুলাতে বুদ্ধির খোরাক জুটলেও

ভাবের আকাশে অনন্ত শূন্যতা।।