Saturday 18 November 2017

নিয়তি
















Click Here 

তোমার উপেক্ষা গুচ্ছ
একদা আমার সস্নেহ প্রশ্রয়ে
তিলে তিলে সাগর সমা
আজ তুলেছে সুনামী

প্রেম নামক দূরন্ত ঘূর্ণিতে
চরাচর অন্ধ হয়ে যায়
দিকভ্রষ্ট কত জাহাজ; তক্ত-তাজ
কোন ছার আমি !!

তবু সে ঝড় ছুটতেই থাকে
দিকবিদিক আপন অপরিমাপ্য ছন্দে
হাওয়াতে ভাসা যতই দীর্ঘস্থায়ী হোক না-
পরম আশ্রয় পদতলের একমুঠো জমি।


Friday 17 November 2017

বরফ-আখ্যান




বরফ-আখ্যান

আজন্ম স্থবির হয়েই ছিলো
সুউচ্চ হিমালয়ে, কোনো এক প্রান্তে,
নিজের প্রত্যেকটা পরমাণুর শক্ত বাঁধনে,
স্থিতপ্রজ্ঞ বরফ।

জল হওয়ার সাধ ছিলোনা তার
ইচ্ছে ছিলোনা কলকল ছলছল অবাধ গতির,
প্রকৃতির অমোঘ বিধানে একদিন কেউ-
দূর্ভেদ্য শিখরে পৌঁছে হাতের তালুতে তুলে নিল।

সে উত্তাপে আলগা হয়ে এলো বাঁধন
মৌল পাল্টাল ধর্ম, আজ সে উদ্দাম নদী।

সেই হাতের তালুটি আজও ছুঁয়ে যায় নিয়মিত
কিন্তু বিমর্ষতায় হাতটি আজ কালো,
এই জলে সে আজো বরফটাকেই খোঁজে
যদিও বরফকে জল সে-ই বানালো !


জলের চোখে জল আসে
ভরে ওঠে নদীর বুক,
পণ করে সে- বাষ্পীভূত হয়ে নামবে পুণঃ গিরিশৃঙ্গে
আসুক,এবারের গ্রীষ্মকালটা আসুক।।

Thursday 16 November 2017

গুচ্ছ অণু কবিতা



Click Here For More








একটি স্বপ্নের প্রয়োজনে সৃষ্ট চারা গাছ-
কর্তব্য বিস্মৃত; আজ নিজেই সাজায় অন্য স্বপ্ন
মহীরুহের ছায়াতলে-
ইতস্ততঃ বাড়ে বৃদ্ধাশ্রম
 **********************

তোমার বোধের অনেক উপর দিয়ে গেলো
তাই সেগুলো কবিতা হলোনা
দূরবীণে কি আর সব ধরা পরে?
প্রত্যেকেই নিজের কাছে অচেনা
********************

সাধু পুরুষ!!
 
শমণের মননে সন্ত্রস্ত হও
সংগ্রহের অধিকার হারানোতে ক্ষুণ্ণ,
নেহাৎ আনুষাঙিকতায় এত মোহ
তোমার উদ্দেশ্য-গন্তব্য দুটোই ভিন্ন
**************


এক ছাদের তলায় বাস করে
গুচ্ছ অসামঞ্জস্যতা,
অথচ ঠিক মানিয়ে নেয়;
সহজাত মানবীয় শক্তি?!
দাঙ্গা বাঁধায় যা-
সে কোন ভক্তি??
****************



সেই ভয়ঙ্কর কথাটি আর বলা হয়নি
তা যে অত্যন্ত সংক্রামক,
একদিন শেষ হবে নিরলস গবেষণা
আক্রান্ত রক্তে হবে প্রতিষেধক।।

*****************



শুনেছি এ মহাবিশ্বে হারায় না কিছুই
শুধু রূপান্তর,
তবে কি হবে পুণঃ মুখোমুখি-
অচেনা ধূমকেতু রূপে?
************



অনুমান যদি করতে হয়, তবে করো-
ব্রহ্মাণ্ডীয় প্রেক্ষাপটে পৃথিবীর একাকীত্য,
উদয়াস্ত চক্রে আত্মতুষ্টির খোঁজ
নেহাৎ শিশুবৃত্তি,
গোলাকার বাহনে অনন্ত যাত্রা
বান্ধব - গন্তব্য বিহীন!
এই তো শাশ্বত; নিত্য ।।
******************



তুরঙ্গারোহিত সোম
চৌপাশে স্ব-আরোপিত ধূম
অভিসারে যুবতী তমা- 

কর্মব্যস্ত ঐশী কলম
************** 


প্রজাপতি পাখায় সয় না ভার,
যত ভালোবাসা যত দায়-
সব তোলা থাক অদৃষ্টপূর্ব ফিনিক্সের জন্যে
******** 


১০
ধ্বনি কে হার মানায় অক্ষরের কোলাহল
প্রসব যন্ত্রনাতেও নেই এতটা অস্থিরতা,
পণ্ডিত, তুমি কখনই বুঝবে না এই প্রাকৃতিক বিকার
কত সহজেই এক শব্দে লিখে দাও- "ব্যাকুলতা"।।
**********  

একটি হত্যা












 

*************
কে কখন কিভাবে আমার হত্যা করল
সত্যি বলছি টের টি পাইনি,
যখন পেলাম
তখন লাশ পচে দূর্গন্ধ,
পাছে ব্যাহত হয় জীবন্তের প্রাত্যহিকী
জড়ো করছি পচা গলা মাংস হাড় নিজেই,
আততায়ী স্বচ্ছন্দে ভিড়ে মিশে গেলো
যদিও সন্দেহের তালিকায় অনেকেই।




© ধ্রুবজ্যোতি মজুমদার

Wednesday 15 November 2017

দূরবীন


দূরবীন

***************

চারপাশে চরম অনিশ্চয়তার লু
আমি নিশ্চিন্ত ,
অসতর্ক তাণ্ডবে মেদিনি অসহিষ্ণু
আমি লিখি প্রেমের কবিতা ।

বিপদ সীমার উপর প্রবাহিত -
লোহিত প্লাবন,
আমার ভ্রূক্ষেপ নেই
ভাসছি কল্পনার ফানুসে।

জাতি সত্ত্বা বর্ণ সত্ত্বার মহারণ
আমার সত্ত্বা নিরুদ্দেশ মহাশূন্যে ,
সেখান থেকে সবটাই সমান দেখায়
তাই এতটুকু দেখছি-
মানুষ মারছে মানুষ ॥


ভাসমান গোলকের কাঁটাতারের বেড়াগুলিও অদৃশ্য ওখান থেকে ,
ঠিক বোঝা যায়না
কোনটা সিরিয়া মায়ানমার
দাদরি গোধরা,
অথবা বাবড়ি ইরাক আফগান !
কোনটা ঠিক বাংলাদেশ আর
কোনটাই বা কাশ্মীর পাকিস্তান !!

রাজনেতা ধর্মনেতা সব একাকার
একাকার বিজ্ঞ- মূর্খ ,
লাল রঙে ছয়লাপ গোলাকার পিণ্ড
বিকট আর্তনাদে হিন্দোলিত মহাকাশ॥

তন্ময়তার ঘোর কেটে গেলো
প্রেমের কবিতা রইল অসম্পূর্ণ ,
মানসী মানস ছেড়ে পালাল ত্রাসে
চুপসে যাচ্ছে কল্প ফানুস।

এ এক বিড়ম্বনাই বটে
কোথায় রাখব পা বাস্তবতার ভূমি মাঝে ?
পদার্পণ মাত্রেই তো আমি যোদ্ধা
অনিচ্ছায় জুটে যাবে অসংখ্য পরিচয় ॥
জাতি-বর্ণ-সম্প্রদায়
আরও কতকি পরিচয়ে চলবে দলে টানার লড়াই
যেকোনো একটা পরিচয়েই হোক
আখেরে মানুষকেই মারতে হবে।

রক্তের নেশায় এমন নেশাতুর করে তুলবে ওরা-
একদিন হয়ত বলব
প্রেম কবিতা আবেগ
সে আবার কেমন বস্তু ?!


ধ্রুবজ্যোতি মজুমদার

Tuesday 14 November 2017

দিনলিপি








দিনলিপি

বৃন্ত ছুঁয়ে থাকা কুসুম জানে
মাধ্যাকর্ষণের হিংস্রতা,
স্লোগানে টিকেনা তার অস্তিত্ত্বের স্থিতি।

দূর্যোগের সে রাতে
সব আবেগের সাথে তুমিও হারাও
শুধু টিকে থাকে বেঁচে থাকার আকুতি।।

ধর্মের ষাঁড় অবাধে ঘুড়ে এগলি সেগলি
গুতিয়ে মারে রোজ ধর্মকেই লক্ষবার লক্ষরকম,
নিজের রচনায় অবাক নিজেই প্রকৃতি।

আমিও কম অবাক হইনা
দূর থেকে চেয়ে দেখি হা-ভাতের মিছিল,
সার্টিফিকেটের আড়ালে ছাই-ভষ্ম শিখি।।

বিক্ষিপ্ত ঘটনাগুচ্ছ আমায় কেন্দ্র করে ঘুরে
প্রতিপাকে দূর্বল হয় কেন্দ্র,
খসে পড়ার আগে বাজে খাতায়; রোজনামচা লিখি।।

#ধ্রুব