Friday 23 March 2018

ডিজি অভিসার

Girl with mobile sketch এর ছবির ফলাফল
----------------------
আজও নিয়মিত অভিসারী রাধা
কে বলে তা বহুযুগের পার!
পাশ ফিরে শুয়ে থাকে আয়ান
ইচ্ছাকৃত খোলা চোখের ঘুম।


কুঞ্জ কদাচিৎ সাজে-
চারদেয়ালের ভাড়াটে পান্থশালা,
কদমশাখা বিস্তারিছে বহুদূর
হাতে হাতে একটুকরো এণ্ড্রোয়েডে।

“কেষ্ট” এখন বহুবচন
নিরন্তর জানালায় উঁকি,
রাধার প্রাণে ঢেউ তোলে নিয়মিত
হাতের মুঠোয় সবুজ বাতির ঝিলিক।

এ যুগের আয়ান বুঝে সব
শবের সাথে নিয়ত দিনযাপন,
“কূল-মান” চিন্তা একালে শুধুই তাঁর
কালচক্রের অদ্ভূত বিবর্তন।।

Sunday 28 January 2018

পাঠ






















আমি ততটাই শিখি
যতটা তোমরা আমায় শেখাও,
স্কুলে, কলেজে, পাঠ্যপুস্তকে
তোমাদের মতো করে ।
তোমরা স্বয়ম্ভূ সাজো
নিজ হাতে লেখো ইতিহাস,
তোমরা তোমাদের ইচ্ছের তুলিতে
আমার ক্যানভাসে আঁকো পট।
আমি প্রদর্শনী মাত্র
বয়ে চলি বর্জ্যের ভার।।


তোমরা বেশ্যাকে বেশ্যা বলতে শিখিয়েছ
শিখিয়েছ ভোগ করাটাই নিয়ম,
তোমরা কখনোই বলোনি সেই কথা -
সে যে আজন্ম বেশ্যা ছিলোনা !!
তোমরা আমাকে অর্থনীতি বুঝাও
আমি তোতাপাখি হই,
আমাকে দেখাওনি শূন্য হাঁড়ি
কঙ্কালসার কৃষকের অকাল শব।।
আমি ঋণী বাতাসের কাছে
তোমাদের কাছেও-
শবদেহের গন্ধ অভুক্তের চাপা আর্তনাদ
কিছুই গোপন করেনি বাতাস।

গোপন থাকেনি তোমাদের প্রাত্যহিকিও।।
ঠিক জেনে গেছি
শিখে গেছি সেইসব পাঠ,
যার জন্যে তোমরা হয়ত মার্কস দেবেনা।

তোমরা কি জানো
তোমাদের চলন বলন ঢের শিক্ষা দেয়,
যতটুকু সজ্ঞানে দিতে চাও
তার চেয়ে লক্ষ গুণ বেশি।
তাই বলেই হয়তো আজ-
আমি দলিত চিনি
চিনি দাঙ্গামৃতের লাশ,
মধ্যস্বত্ত্বভোগী দালাল
টোপ-বড়শীওয়ালা রাজনৈতিক সঙ।

এমন অজস্র ব্যাপার
সবটাই কিন্তু তোমরাই চিনিয়েছ
সম্পূর্ণ নিজ অজ্ঞাতে
ইচ্ছাবিরূদ্ধ ভাবে ।

আশ্চর্যে থেকোনা,
এবার যদি অসময়ে বর্ষা নামে
অথবা কুয়াশা ঢাকে রেটিনা।
খুলে দেখে নিতে পারো যেকোনো পুঁথি
যেকোনো দর্শন, বিজ্ঞান
সবখানেই এক কথা
যেমন কর্ম তেমন ফল
অথবা
একশন রিয়েকশন একই সুতোয় বুনা ।।

রাজকন্যা


বোবা যন্ত্রণা অদৃশ্য শূল,
ভুল ভুল আর ভুল।
অঞ্জলি খুলে দেখি নেই জল
মুঠোভরা মরিচিকা ধূল।


স্বপ্নে দেখা কুঁড়েঘর-
রাজকন্যা, সব মিছে,
সে প্রান্তরে আজ তটিনী
ছাপিয়েছে দু'কূল।।
 

একদার রাজকন্যা আজ রাণী
ওপারে কোনো এক রাজ্যে,
অথবা স্বেচ্ছা-বন্দিনী,
ক্ষমতার অলিন্দের ফুল।।

রোজনামচা
























দিনান্তে হিসেবের খেই হারানো
নতুন কিছু নয়,
জ্যামিতিক আঁকে
প্যাঁচিয়ে উঠে ধাঁধা ।
রোজকার নিয়মে তবু
খাতা খুলে বসি,
শেষে মিনিটে টুকলি করাটা-
দিনলিপিতে বাঁধা ।।
দার্শনিকতায় রোজ বাগড়া দেয়
কমে আসা আলো ,
যান্ত্রিক চালে শেষ লাইনে -
মোটফলে তবু লিখি "ভালো"।।

Friday 5 January 2018

স্মৃতি

 

Click here to see informative videos


বেশ থেমে আছে সময়টা
অথচ বদলায় ক্যালেন্ডার
ইতিউতি ঘোরাফেরা করে প্রেম
কবিতার জামা গায়ে ।
এক একটি মিনিটের হৃদয়ে
শুধু ষাটটি সেকেন্ড নয়,
কল্পযুগ
সৃষ্টি স্থিতি,
তবে লয় বিহীন ।


সব মিলিয়ে আমার জাগতিক দশটি মিনিট
অপরিমেয় অনন্ত ,
হাজারো লাখো জীবনমৃত্যু চক্র শেষেও
অসমাপ্য সেই ক্ষণ।
যে ক্ষণের চারপাশে
ধ্বনিত হচ্ছে ঐশী বৈদিক তান
সদগুরু বন্দনার ঊজ্জীবনী তরঙ্গ
লোকে লোকারণ্য উৎসব মুখর
একটি গ্রামীণ পাহাড়ি জনপদ।।



মনে পড়ে কুরুক্ষেত্র
সেই মাঠেও একবার থেমেছিলো কাল
অর্জুন দেখেছিল পরম সত্য ,
আমার সত্যের গায়ে অন্য জামা
এক শুভ্রবসনা মূর্তি
চোখেমুখে অফুরান অনুসন্ধানী আলো
নেহাত সাদামাটা চিত্রপট।
অথচ যেনো -
জন্মান্তরের প্রতীক্ষার অবসান
অনাবিল তৃপ্ততা নিয়ে আসা
কয়েক সেকেন্ডর দৃষ্টি বিনিময়,
লৌকিক শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের শেষে
মুহূর্তেই বিদায়ের পালা।
.
ক্ষণিকের সেই স্বর্গীয় অনুভুতির--
অপ্রকাশ্য ইন্দ্রজালে মোহাবিষ্ট ঘন্টা মিনিটেরা,
স্থুল সময় গড়িয়েছে বহুদূরে।
ধ্যানস্থ জীবন আবর্তিত হচ্ছে; হোক্
মূহুর্তকে কেন্দ্র করে।।